করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা!
করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা
করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা ভাবলে হতাশ হতে হয়! গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বন্ধের ছুটি! এদিকে টান টান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ভালোবাসা দিবসসহ সকল প্রকার দিবস পালন করছে এক ঝাঁক তরুণ তরুণী আর বাসায় বসে অনলাইন বুদ্ধিজীবী বুড়ো-বুড়িরা।
অনলাইনে বসে যারা টনকনড়া দিচ্ছে তাদের হাতে দেশের চাবিকাঠি। যা ইচ্ছা তাই করছে, যেখানে তারা তাদের প্রাপ্য বেতন থেকেও বেশি গুনে বেতন নিচ্ছে তবুও যেন তাদের আত্মতৃপ্তি হচ্ছে না। তাদেরকে দেখলাম না নিজ অবস্থান থেকে অসহায় গরিব মানুষের সাহায্য করতে। বরঞ্চ কীভাবে গরিব, অসহায়দের প্রাপ্য ক্ষুদ্র রুটির ভাগ নেবে সে চিন্তায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। করোনার জন্য তারা বাইরে যেতে পারছে না; তাই তারা অনলাইনে সব কারচুপি করছে। এসব দেখে নিজের ঘৃণা আর প্রতিবাদকে যত সম্ভব খুব সংযম রাখার চেষ্টা করি।
মাঝে মাঝে দেখা যায়, টাকার বস্তু সামনে আসে আবার কয়দিন পর এসব বিষয় রাতারাতি হাওয়া হয়ে যায়। মাঝে মাঝে মন চায় ওসবের সাথে একটা সেলফি তোলে রাখি যখন তখন কাজে লাগতে পারে। আবার ভাবি আমার ভাই দামি ক্যামেরাওয়ালা ফোন নেই, তাই কাজ হবে না। আসলে পরিস্থিতি এখন টাকা আর ক্ষমতাধর মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: বই এবং বই পড়া!
আর এক ঝাঁক বুদ্ধিজীবী মানুষ করোনা কে ভয় না করে। আত্মতৃপ্তির জন্য বেরিয়ে পড়ছে ভ্রমণের উদ্দেশ্য। আর বাসায় বসে বসে অলস আমি শুধু তাদের ফেসবুকের ছবিতে রিয়েক্ট দিয়ে যাচ্ছি।
সবকিছু আপনারা খুলে দিলেন কারণ আপনাদের ব্যবসা প্রয়োজন। মানলাম এতে করে সমাজের কিছু মানুষের উপকার হয়েছে। তবে এর পারসেন্টিজ কতটুকু?
শুনেছিলাম করোনার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু করোনার জন্য ভাই আমাকে আর কত বোঝাবেন? রাস্তায় হাঁটা-চলা কি বন্ধ করে দিতে পারবেন? কই কয়জনকে সৃষ্টিকর্তার নির্ধারিত পরিকল্পনা থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন?
এভাবে তো প্রায় বছরখানেক কাটিয়ে দিলেন। গুটি গুটি পায়ে হাঁটা-চলার মাধ্যমে কই একবারও কি ভেবে দেখছেন যে; অনার্স শেষ করা যে ছেলেটা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে; টিউশনের টাকা দিয়ে অসুস্থ বাবা-মাকে যেখানে টাকা পাঠাচ্ছিল; তাদের কী অবস্থা? দিলেন তো এক বছর এটাও বন্ধ করে। তো এখন সে গ্রামে এসে সবজি বিক্রি করে। যদিও ভালো না লাগলেও এসব কাজ করে তাকে খেতে হবে এবং তার ওপর দায়িত্ব তার পরিবারকে খাওয়াতে হবে।
সমাজের অনেকেই শিক্ষিত ছেলে বলে। গ্রামের সংসদ সন্ধ্যাবেলার দোকান- যেখানে এক শ্রেণীর মানুষ পাক্ষিক ঝড় তোলে। ছেলেটা লজ্জায় দোকানেও যেতে পারে না। কখনো কি আপনি আপনার নৈতিক মূল্যবোধ দিয়ে এটা বিবেচনা করছেন? কেনই বা করবেন। আপনার ছেলে মেয়ে তো লন্ডন, কানাডাতে পড়াচ্ছেন। আপনার টাকার অভাব নেই। হয় তো বুড়ো বয়সে, আপনার ছেলে মেয়ে এখনো ৪-৭ বছরের বাচ্চা। যাদের পড়ালেখা করার সময় হয়নি। তাই শিক্ষা নিয়ে আপনার মাথা ব্যথা নেই। আপনার লক্ষ্য টাকা আর টাকার লোভ।
আমি এককভাবে আপনাকে দোষী বললে ভুল হবে। কিন্ত আপনি আপনার অবস্থান থেকে কতটুকু করেছেন। সেটা দেখার বিষয়! হয়তো আপনি, আমি, আমরা চাইলে সমাজ পরিবর্তনের সাথে সমগ্র দেশও পরিবর্তন করতে পারতাম।