জামদানি শাড়িতে উষ্ণ সোহিনী, জেনে নিন জামদানির ইতিহাস!
![জামদানি শাড়িতে উষ্ণ সোহিনী, জেনে নিন জামদানির ইতিহাস!](https://anolipi.com/wp-content/uploads/2022/08/জামদানি-শাড়িতে-উষ্ণ-সোহিনী-জেনে-নিন-জামদানির-ইতিহাস-780x470.jpg)
ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। লাস্যময়ী এই অভিনেত্রীর মিষ্টি হাসির প্রেমে পড়েন সকল দর্শক। তিনি অভিনয় শুরু করেন ২০০৮ সালে। বর্তমানে ওটিটি প্লার্টফর্মে সরব উপস্থিতি রয়েছে সোহিনী সরকারের। বরাবরই তিনি নিজের চেনা ছক ভেঙে নতুন নতুন রূপে হাজির হন দর্শকদের সামনে। সম্প্রতি ওটিটি প্লার্টফর্মে মুক্তি পেয়েছে অরিন্দম শীলের পরিচালনায় “সম্পূর্ণা”। আর সম্পূর্ণার প্রমোশন লুক সামনে আসতেই নেট দুনিয়া মুগ্ধ হয়েছে ঢাকাই জামদানি শাড়ি পরা সোহিনীর স্নিগ্ধ রূপ দেখে। সাদা রঙের খুবই সাদামাটা অথচ এলিগেন্ট ঢাকাই শাড়ির সাথে তার স্টাইল সবার নজর কেড়েছে।
যেভাবে নিজেকে সাজালেন সোহিনী
সোহিনী এই লুকটির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সাদা রঙ বেছে নিয়েছেন। পা থেকে মাথা পর্যন্ত সাদা মনোটোনে সাজিয়েছেন নিজেকে। অনেকেই মনে করেন সাদা মনোটোনে কন্ট্রাস্ট এলিমেন্ট ব্যবহার করলেই কেবল ভালো দেখাবে। কিন্তু সোহিনী এক্ষেত্রে সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছেন শুধুমাত্র সাদা রঙেই কতটা মনোহর লাগতে পারে কাউকে। তার শাড়িটি গিয়েছে ঢাকা থেকেই। অর্থ্যাৎ একদম ট্র্যাডিশনাল জামদানি শাড়িতেই নিজেকে সাজিয়েছেন তিনি। শাড়িটির খাঁটি জামদানি জমিনে সাদা সুতোর কাজ করা রয়েছে। সাথে রয়েছে সোনালি ও কপার জড়ির কাজ, যা এর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
![জামদানি শাড়িতে লাস্যময়ী সোহিনী সরকার](https://anolipi.com/wp-content/uploads/2022/08/জামদানি-শাড়িতে-লাস্যময়ী-সোহিনী-সরকার-200x300.jpg)
সঙ্গে আটপৌরে সাদা ব্লাউজ
শাড়ির সাথে ব্লাউজ হিসেবেও সোহিনী বেছে নিয়েছেন সাধারন সাদা একটি ব্লাউজকে। নিজের আটপৌরে ও ট্র্যাডিশনাল লুক ধরে রাখতে ব্লাউজ হিসেবেও সাদা রঙকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ব্লাউজে বাড়তি কোনো রঙ বা আধুনিকার ছোঁয়া নেই। একদম সম্পূর্ণার “সত্যবতী”র রূপেই যেন ধরা দিয়েছেন তিনি। যদিও সোহিনী তার নেকলাইনকে এখানে হাইলাইট করেননি তবুও স্বচ্ছ শাড়ি ভেদ করে বোঝা যাচ্ছে ব্লাউজের নেকলাইন বেশ ডিপ। এবং সাথে এলবো হাতা ব্লাউজটি তার লুককে দিয়েছে এলিগেন্ট একটি ছোঁয়া।
স্বর্ণের গয়নার ব্যবহার
শাড়ির সাথে গয়না হিসেবেও খুব সাদামাটা ছোটো একটি নেকপিস ও কানপাশা বেছে নেওয়া হয়েছে। স্বর্ণের সাদামাটা গয়নাগুলো তার লুককে সম্পুর্ন করেছে অসাধারণভাবে। পুরো সাজে যেন সব আকর্ষণ সুন্দর এই ঢাকাই শাড়ি থেকে অন্যদিকে না যায় তার চেষ্টা করা হয়েছে। সাদা শুভ্র ঢাকাই জামদানির এই লুকে সোহিনীর থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না।
আরও পড়ুন# চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ঐতিহ্যবাহী আমের রাজধানী
মেকআপেও বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তুলেছেন
খুব বেশি মেকআপ ব্যবহার করেননি এই নায়িকা। তার স্নিগ্ধ রূপটি ফুটিয়ে তুলতে পরিমিত মেকআপ এর ব্যবহার করেছেন, চোখের সাজের ক্ষেত্রেও রেখেছেন বাঙালিয়ানার ছাপ। শাড়ির সাথে টিপ না হলে কি সাজ সম্পূর্ণ হয়? তাই সাথে পরেছেন ছোটো একটি কালো টিপ। সাথে লাস্যময়ী ভাব বজায় রাখতে হেয়ারস্টাইলও করেছেন খুব সাদামাটা কিন্তু এলিগেন্টভাবে। মাঝখানে সিঁথি করে পেছনে খোঁপা করে বাধা হয়েছে চুল। ব্যাস।
কোথা থেকে এসেছে এই শাড়ি?
অপূর্ব এই শাড়িটি ইন্দু বাই জয়িতা ডিজাইনার হাউজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিজাইনারের কালেকশন থেকে পাওয়া তথ্যমতে শাড়িটি বাংলাদেশের ঢাকা থেকেই গিয়েছে। ট্র্যাডিশনাল সাদা ঢাকাই শাড়িতেই নিজেকে তুলে ধরে নেট দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছেন লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী। সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন স্নিদ্ধ সাজে। নিজেকে সাজাতে যে অতিমাত্রায় কনট্রাস্ট রঙের ব্যবহার বা গয়নার ব্যবহারই করতে হবে তা নয়, খুব সাধারন সাজেও কিভাবে অসাধারণ হওয়া যায় তাই যেন দেখিয়ে দিলেন সোহিনী।
বাঙালির শাড়ির ইতিহাস জানেন কি?
বাঙালি সাংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ শাড়ি। সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই বাঙালি রমনীরা শাড়ি পরিধান করে আসছেন। আজও তার আবেদন একটুও কমেনি। শাড়ি পরার ধরনে কিছু ভিন্নতা এসেছে সময়ের স্রোতে। কিন্তু আজও বাঙালি নারীর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে শাড়ির বিকল্প কিছুই নেই। জানা যায় সেই খৃষ্টপূর্বাব্দ সময় থেকেই এই ভারতীয় উপমহাদেশের নারীরা নিজেদের পোশাক হিসেবে শাড়ির ব্যবহার করে আসছেন। একেক অঞ্চলের শাড়ি পরিধানের ধরন একেক রকম ছিল। কেউ হয়তো একটু খাটো করে শাড়ি পরতো, কেউ বা লম্বা করে। শাড়ি পরার ধরনকে বেশ কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। এরমধ্যে রয়েছে বাঙালি ধাঁচে শাড়ি পরাও। কলকাতার ঠাকুর বাড়ির মেয়েরাই উনিশ শতকে শাড়ি পড়ার ভিন্ন একটি ধরণ বের করেন। যা সেই সময় থেকে শুরু করে আজও সমানতালে পরা হচ্ছে।
আরও পড়ুন# ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশল বিদ্যা কেন পড়বেন!
শাড়ি পরার যেমন বিভিন্ন ধরন রয়েছে তেমনই শাড়িতেও রয়েছে বাহারী সব বৈচিত্র। কবি জসীমউদ্দীন তাঁর একটি প্রবন্ধে অনেকগুলো শাড়ির নাম তুলে ধরেন। তাঁর ‘পূর্ববঙ্গের নক্সীকাঁথা ও শাড়ী’ প্রবন্ধে পাওয়া যায়— কালপিন, বাঙ্গনীগরদ, জলেভাসা, একপাছুন্না, কাচপাইড়, জামদানি, জামের শাড়ি, রাসমণ্ডল, সোনাঝুরি, কুসুমফুল, বাঁশিপাইড়, লক্ষ্মীবিলাস, কৃষ্ণনীলাম্বরী, মধুমালা, কুনারি, কলমিতলা ইত্যাদি ইত্যাদি নামের সব বাহারী বর্নীল শাড়ির পরিচয়। একেক শাড়ির একেক রকম রূপ, রঙ, সুতোর বুনোন। এত এত শাড়ির মধ্যে আজ আমরা কথা বলব জামদানি শাড়ি নিয়ে।
জামদানি শাড়ির ইতিহাস
আমরা সকলেই জানি প্রাচীন ঢাকা মসলিন কাপড়ের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদ্রিত ছিল। মসলিন শাড়ির জনপ্রিয়তা উপমহাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বাইরে অবধি পৌছে গিয়েছিল। মসলিন ও জামদানি শাড়ির ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে জানেন কি? বর্তমান জামদানিকেই ধরা হয় মসলিনের উত্তরাধিকারী হিসেবে। যেহেতু মসলিনের ইতিহাস বেশ প্রাচীন সে হিসবে জামদা্নিও বেশ প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ। আজকের যে জামদানিকে আমরা চিনি তার দেখা পাওয়া যায় সেই খৃষ্টপূর্বাব্দ সময়েই। জামদানি শাড়ির সবচেয়ে প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায়, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে। কৌটিল্যের “অর্থশাস্ত্র” গ্রন্থটি লিখিত হয়েছে আনুমানিক ৩০০ খৃষ্টপূর্বাব্দে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন তখনকার বঙ্গ ও পুন্ড্র (বর্তমানে বগুড়া) অঞ্চলে কিছু কাপড়ের কারখানার কথা। জানা যায় সেখানে নাকি মিহিন কিছু কাপড়ের উৎপাদন করা হতো।
![ঢাকাই জামদানি শাড়ি](https://anolipi.com/wp-content/uploads/2022/08/ঢাকাই-জামদানি-শাড়ি-300x300.jpg)
এছাড়াও পেরিপ্লাস অব দ্য এরিথ্রিয়ান সি বইতেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। প্লেরিপাস একটি গ্রিক শব্দ। এর অর্থ সমুদ্রের বুকে পাল তুলে ভেসে বেড়ানো। প্লেরিপাস একটি নৌপথে বানিজ্যের বিবরণ সংক্রান্ত গ্রন্থ। এটি খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে রচিত। সেখানেও বঙ্গ অঞ্চলের মিহিন বস্ত্রের কথা উল্লেখ আছে।
এছাড়াও আরব, চীন ও ইতালীর বিভিন্ন পর্যটক ও ব্যবসায়ীর বর্ণনাতে বারবার পাওয়া গিয়েছে এই ধরনের বস্ত্রের বিবরণ। এ’থেকে বোঝা যায় প্রাচীন যুগ থেকেই বাঙলা অঞ্চল মিহিন সুক্ষ্ণ কাপড়ের জন্য বিখ্যাত ছিল।
ঐতিহাসিক এসব বর্ণনা বিশ্লেষন করে জানা যায় প্রাচীন সেই মিহিন বস্ত্রটিই হলো মসলিন। এবং মসলিনে করা নকশা থেকেই জামদানী শাড়ির উৎপত্তি।
জামদানি নামকরণ
জামদানির নামকরণ নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে। জামদানি মূলত ফারসি ভাষা থেকে এসেছে ধারণা করা হয়। ফারসিতে “জামা” অর্থ হলো পোশাক ও “দানা” অর্থ হলো বুটি। অর্থ্যাৎ জামদানির অর্থ দাঁড়ায় বুটিদার পোশাক। অপর একটি মতো অনুযায়ী ফার্সিতে “জাম” অর্থ সুপেয় মদ ও “দানি” অর্থ পেয়ালা। অর্থ্যাৎ ইরানী মদ পরিবেশকারীদের পরিহিত মসলিন পোশাক থেকে হয়তো জামদানি নামটি এসেছে। যেহেতু ফার্সি ভাষার শব্দ তাই অনেকে মনে করেন তখনকার ভারতবর্ষে আগত মুসলিমদের দ্বারাই এই কাপড়ের বিস্তার ঘটে। আসলে পারস্য ও মুঘল দুইটি সংস্কৃতির মিশ্রনের ফলই এই কাপড়। কিন্তু বাংলার উর্বর মাটি ও আবহাওয়া এর রসদ জুগিয়েছিল। নকশা অনুযায়ী আবার জামদানির বিভিন্ন ভাগ আছে। নকশার বিভিন্নতার ওপর নির্ভর করে জামদানিকে তেরছা, জলপাড়, পান্না হাজার, করোলা, দুবলাজাল, সাবুরগা, বলিহার, শাপলা ফুল, আঙ্গুরলতা, ময়ূরপ্যাচপাড়, বাঘনলি, কলমিলতা, চন্দ্রপাড়, ঝুমকা, বুটিদার, ঝালর, ময়ূরপাখা, পুইলতা, কল্কাপাড়, কচুপাতা, প্রজাপতি, জুঁইবুটি, হংসবলাকা, শবনম, ঝুমকা, জবাফুল ইত্যাদি নামে ডাকা হয়।
![জামদানি শাড়িতে উষ্ণ সোহিনী, জেনে নিন জামদানির ইতিহাস!](https://anolipi.com/wp-content/uploads/2022/08/জামদানি-শাড়িতে-উষ্ণতা-ছড়ালেন-সোহিনী-জেনে-নিন-ঢাকাই-জামদানির-ইতিহাস-1-300x169.jpg)
ঢাকাই জামদানি ও মসলিনের স্বর্ণযুগ
ঢাকাই মসলিন ও জামদানির স্বর্ণযুগ ধরা হয় মুঘল আমলকে। মিহিন কাপড়ের ওপর করা কারুকার্যগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায় নকশাগুলিতে মুঘল ও পারস্যের শিল্পরীতির প্রভাব রয়েছে। কারজ এই সময়েই জামদানি ও মসলীন কাপড় চাহিদা তুঙ্গে ছিল। এবং এই কাপড়ের কারিগররা এত সর্বোচ্চ উন্নতি সাধন করেছিলেন। মূলত বাংলাদেশের ঢাকা জেলাতেই জামদানি শাড়ি সর্বোচ্চ উৎকর্ষতা লাভ করে। এই শাড়ি বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরী করা হলেও ঢাকাকেই এর আদি জন্মস্থান বলে ধরা হয়। ঢাকার সোনারগাঁও, তিতাবাড়ি, ধামড়াই, বাজিতপুর ইত্যাদি অঞ্চল এই কাপড় উৎপাদনের জন্য শীর্ষে ছিল। ধারনা করা হয় শীতলক্ষ্যা নদীর তীড় ঘেষে অবস্থিত হওয়ায় সোনারগাঁওয়ের আর্দ্র পরিবেশ এই কাপড় তৈরীতে অবদান রাখতো। ফলে এই অঞ্চলের কাপড় সবচেয়ে উৎকর্ষ হতো এবং স্বর্বজনস্বীকৃত গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলো। এখন জামদানি বলতে কেবল শাড়ি ধরা হলেও তখন কিনতি এই কাপড়ের ব্যবহার ছিল নানা ধরনের। শাড়ি, রুমাল, স্কার্ফ সবভাবেই ব্যবহার্য ছিল এই কাপড়। মিহিন মোলায়েম এই কাপড়ের স্বর্নযুগ মুঘল আমলেই দেশে বিদেশে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এভাবেই এই কাপড়ের উন্নতি লাভ হয়।
আরও পড়ুন# গুচ্ছে সাবজেক্ট চয়েজ দেবেন যেভাবে!
জামদানি শাড়ির নকশা
আগেই বলা হয়েছে জামদানী শাড়ি মূলত মুঘল-পারসীয় মিশ্র সংস্কৃতির একটি শিল্প। এর নকশাগুলো লক্ষ্য করলে মুঘল-পারসীয় শিল্পরীতির ব্যবহার দেখা যায়। তবে সময়ের সাথে সাথে সবকিছুতেই বৈচিত্র আসে। সময়ের স্রোতে এই কাপড়ের নকশায়ও বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে। আমরা এখন যেরকম জামদানি শাড়ির ফুলেল নকশা দেখছি শতবছর আগেও কি জামদানি শাড়ির নকশা এমনই ছিল? জানা যায়, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমল থেকেই ফুলেল মসলিন ও জামদানি প্রচলন শুরু হয়েছিল। ১৯৬০ এর দশকে লাল জামদানি শাড়ির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল। জামদানি শাড়ির এসব বর্ণিল নকশা শিল্পী তার স্মৃতি থেকে সুতোয় ফুটিয়ে তুলতেন। একজন দক্ষ কারিগরের তৈরি জামদানি শাড়ি কেবল এক টুকরো কাপড় নয় বরং আস্ত একটি শিল্প।
শেষ কথা
জামদানি শাড়ি আমাদের দেশের নিজস্ব ঐতিহ্য। ২০১৬ সালে দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি। বর্তমানে জামদানি পল্লীর শিল্পীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমাদের উচিত নিজস্ব এই সাংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা এবং জামদানি শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা।