আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে নারায়নগঞ্জে নিহত শাওন বিএনপি কর্মী নয় বলে মন্তব্য করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, শাওন নামের ওই যুবক গুলিতে বা অন্য কোনো কিছুর আঘাতে নিহত হয়েছেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। এ বিষয়ে তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। নিহত শাওন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর ভাতিজা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেয়ারম্যান শওকত আলী নিজেই।
এ ব্যাপারে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী বলেন, শাওন আমার চাচাতো ভাই সাহেবের ছেলে। সে কোনো দলের পদে ছিল না। রাজনীতিতেও সে তেমন সক্রিয় নয়।
নারায়নগঞ্জে নিহত শাওনের বাড়ি সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের গোপালনগর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তার বাবার নাম সাহেব আলী।
আরও পড়ুন# এক দফা বিরতি দিয়ে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম
এদিকে বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে সকাল থেকেই নগরীর ডিআইটি এলাকায় দলীয় মিছিল সমাবেশে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করতে দেখা যায় শাওনকে। তার এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শাওনের মৃ্ত্যুর পর ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি। তবে নিহত শাওন যুবদল নেতা নন পুলিশ সুপারের এমন বক্তব্যে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় খানপুর হাসপাতাল ও ঢাকাস্থ রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া এ সংঘর্ষে বিএনপির ৩০ জন নেতাকর্মীও আহত হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে আহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি!