
ট্রেনের টিকিটের অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সহজ ডটকমকে করা দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সহজের পক্ষ থেকে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ২০ জুলাই টিকিট বুকিং অপারেটর সহজ ডটকমকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে। এই জরিমানার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৫ জুলাই রিট করে সহজ ডটকম। আদালতে আইনজীবী তানজিব উল আলম রিটের পক্ষে শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন এডভোকেট কাজী এরশাদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী তানজিব উল আলম জানান, “হাইকোর্ট জরিমানা আদায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ফলে সহজকে দুই লাখ টাকা দিতে হচ্ছে না।”
রুলে মহিউদ্দিন রনির অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে সহজকে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যে ২ লাখ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করেছিল, তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রিট করা হয়েছে। মহিউদ্দীন রনি, বাণিজ্যসচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ পাঁচ বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে আদালত।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার পর অভিযোগ করেন মহিউদ্দিন রনি। এই অভিযোগকে সামনে নিয়ে রেলের অনিয়মের বিরুদ্ধে ৭ জুলাই থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে ছয় দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে থেকে শুরু করে তাঁর টানা তিন সপ্তাহের আন্দোলন দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করে।
গত ২৫ জুলাই রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে চার ঘণ্টা বৈঠক করেন রনি। বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে তিনি তাঁর আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন: রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষার্থীর অভিনব প্রতিবাদ!