সৌদি আরবে ট্রেন চালক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন নারীরা!
সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বহুদিন আগেই। এছাড়াও পুরুষ মাহরাম ছাড়া নারীদের বাইরে বের হওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। বলা হচ্ছে ধীরে ধীরে রক্ষণশীলতার বলয় থেকে বের হয়ে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মেলাচ্ছে দেশটি। ইতোমধ্যেই দেশটিতে হয়েছে কনসার্ট, হয়েছে ফ্যাশন শো-ও!
মুহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে পালটে যেতে শুরু করেছে দেশটির চেহারা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সৌদি আরবে ট্রেন চালক হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন নারীরা। মক্কা ও মদিনায় যাতায়াতের জন্যে স্পেশাল হারমাইন ট্রেন চালাবেন এই নারী চালকরা। নারীদের কর্মক্ষেত্রে সুযোগ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। এ ঘটনাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের নারী অধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো।
এ বিষয়ে দেশটির পরিবহন ও লজিস্টিক বিষয়ক মন্ত্রী সালেহ আল জাসির একথা বলেন। ট্রেন বিষয়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে নারী চালকদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন# রানি এলিজাবেথ মারা গেছেন!
আল জাসির আরও বলেন, আগামী মাস থেকে দেশের উচ্চপ্রশিক্ষিত নারীরা পবিত্র দুই শহরের চলাচলকারী এ ট্রেনের নেতৃত্বে দেবেন। কর্মক্ষেত্রে নারীরাও অবিচ্ছেদ্য অংশ। কর্মক্ষেত্রে নারীর অবদান বিশেষভাবে বিকশিত হচ্ছে। আগামীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের আরও বেশি দেখা যাবে।
গত মার্চে শুরু হওয়া ট্রেন চালানো বিষয়ক প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপ এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। গত মাসে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন ৩১ সৌদি নারী। ৪৮৩ ঘণ্টার এ প্রশিক্ষণ কোর্সে তাদের কাছে তাত্ত্বিক, সাধারণ জ্ঞান, কাজের ঝুঁকি, আগুনের প্রাদুর্ভাব, ট্র্যাফিক, নিরাপত্তা, প্রবিধান এবং ট্রেন ও রেলওয়ে অবকাঠামো সম্পর্কিত অন্যান্য প্রযুক্তিগত দিকগুলো তুলে ধরা হয়। উচ্চগতির রেল পরিচালনাকারী স্প্যানিশ কোম্পানি রেনফে ও সৌদি রেলওয়ে পলিটেকনিক বিভাগ এ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ নারী ট্রেন চালকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে গোটা সৌদি আরবে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। তখন এই পদে ২৮ হাজার নারী আবেদন করেন যা সৌদির ইতিহাসে ছিল খুবই বিরল। সৌদি আরবে নারীদের কর্মক্ষেত্র ছিল খুবই সীমিত। যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ঘোষিত মিশন ২০৩০ এর বাস্তবায়নে নারীদের উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়বে তাতে কোনোও সন্দেহ নেই!