
প্রিয়জনের সাথে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। এসময়ে তীব্র পরিবহন সংকট, যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ ও মোটরসাইকেল বন্ধের সুযোগে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে গণপরিবহনের বিরুদ্ধে।
গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ শাওন নামের এক যাত্রী জানান, ‘গাবতলি থেকে মানিকগঞ্জের ভাড়া ৫০-৬০ টাকা, আর পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত ১৫০ টাকা। কিন্তু গাড়ির সংকট দেখিয়ে মানিকগঞ্জের ভাড়া নিচ্ছে ২০০ টাকা; যা দ্বিগুনেরও বেশি!’।
একই ধরনের অভিযোগ তুলেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইদের ছুটিতে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করলে রাজধানীর সিটি সার্ভিসের বাসের ভাড়া ক্ষেত্রবিশেষে ৫ থেকে ৬ গুণ পর্যন্ত বাড়তি আদায় করা হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় এখনো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। উত্তরা থেকে সায়েদাবাদে ৫০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা নিতে দেখা গেছে। শ্যামলী থেকে গুলিস্থানে ৩০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে গণপরিবহনের লোকজন বলছেন, ইদের সময় যাত্রীদের চাপ এমনিতেই একটু বেশি থাকে। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী কিছু ভাড়া বেশি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের কিছুই করার নেই।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় অনেকে ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ-ট্রাকে গন্তব্য স্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। আবার অনেকে গণপরিবহণ না পেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাস ভাড়া করেছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, সব পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে এমনটি করতে পারে, সেটি ভিন্ন কথা। এটি দেখার জন্য তো লোক রয়েছে।
আরও পড়ুন# তীব্র গরম ও তাপদাহ থাকবে আরও দুই দিন!