প্রযুক্তিফিচার

সবসময় ব্যবহার করেন ইয়ারফোন? সা’বধান সময় থাকতে সত’র্ক হোন!

সবসময় ব্যবহার করেন ইয়ারফোন? সা’বধান সময় থাকতে সত’র্ক হোন! এমন কিছু অজানা তথ্য আমাদের জানা দরকার কারণ নিজের অজান্তেই আমরা নিজের ক্ষতি করছি

অনুলিপি ডেস্কঃ সবসময় ব্যবহার করেন ইয়ারফোন? সা’বধান সময় থাকতে সত’র্ক হোন!,আমরা অনেকেই অনেক সময় কাজ করার পাশাপাশি কানের মধ্যে হেডফোন লাগিয়ে রাখি। যা খুবই একটা খারাপ অভ্যাস। অনেকেই রাস্তার কোলাহল, বাসের হর্নের আওয়াজ এড়াতে হেডফোনের ব্যবহার করেন। যদি অভ্যাস এমনই হয়, তাহলে এখনি সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা। আসুন জেনে নেওয়া যাক, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে। প্রযুক্তি প্রতিনিয়তই উন্নত হচ্ছে। সেই সাথে আমাদের জীবন হয়ে উঠছে আরামদায়ক ও জাঁকজমকপূর্ণ। কিন্তু বিজ্ঞানের এই আশির্বাদই কখনো কখনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়।

হেডফোন হচ্ছে তেমনই একটি প্রযুক্তি যার বেশকিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ছোট্ট এই গেজেটটি ছোট-বড় সবাই ব্যবহার করলেও এর পার্শ প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় হাই ভলিউমে গান শুনলে হেডফোন খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। এ ছাড়া হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শুনবেন না। সর্বোচ্চ ৭০-৮০ ডেসিবেল শব্দে গান শুনতে পারেন। উচ্চশব্দ কানের পর্দায় গিয়ে খুব জোরে আঘাত হানে। দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে সরাসরি অডিও কানে যায়। ১০০ ডেসিবল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে। চিরতরে শ্রবণ শক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

হেডফোন কারও সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। এতে কানে সংক্রমণ হতে পারে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া হেডফোনের মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে।
যে কোনো স্থানে হেডফোন ফেলে রাখবেন না। এতে এয়ারপ্যাড সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যা পরে কানের সংক্রমণে গুরুতর ভূমিকা রাখে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই হেডফোনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।
১. শ্রবণ জটিলতা> যখন আপনি হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তখন সরাসরি অডিও আপনার কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ যদি আপনার কানে যায় তাহলে শ্রবণ জটিলতা ঘটাতে পারে এবং এমনকি আপনি চিরতরে আপনার শ্রবণ ক্ষমতা হারাতেও পারেন। এছাড়া ১০০ ডেসিবলের উপর মাত্র ১৫ মিনিট এয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।

আরো পড়ুন: পছন্দ করুন একটি পালক, আর মিলিয়ে নিন আপনার চরিত্র

২. বাতাস প্রবেশে বাধা> বর্তমানে কিছু এয়ারফোনে চমৎকার শব্দ পাওয়া গেলেও তার স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এসব এয়ারফোন এয়ারক্যানেল পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়। এতে কানের ভিতর বায়ু প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা আরো বেশি হয়।
৩. কানে ব্যাথা> যারা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারনত এর সমস্যায় ভুগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওাজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু ক্ষতির লক্ষণ।
৪. কানে ইনফেকশন বা প্রদাহ> একটি হেডফোন একজনেরই ব্যবহার করা উচিৎ। কিন্তু আমরা একটি এয়ারফোন একাধিক ব্যক্তি, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে থাকি। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবণা থাকে। কারণ এয়ারফোনের মাধ্যমে একজনের কানের জীবাণু অন্যজনে বাহিত হয়। সুতরাং এখন থেকে এয়ারফোন শেয়ার করবেন না। করলে অবশ্যই ব্যবহারের পূর্বে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে নিবেন।

৫. শ্রবণশক্তির জড়তা> কিছু সমীক্ষায় জানা যায়, যারা এয়ারফোন ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন তাদের কানে জড়তা চলে আসে। এই জড়তা স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সময় উচ্চস্বরে মিউজিক বাজালে শ্রবণশক্তিও হারাতে পারেন।
৬. মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব > হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর যারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরো বেশি ঝুঁকিতে আছেন। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত। তাই হেডফোন সরাসরি আপনার মস্তিষ্কে আঘাত হানে।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।