ফিচার

দিন দিন আত্মহত্যা প্রবণতা কেন বাড়ছে

বর্তমানে বাংলাদেশের আত্মহত্যার পরিমাণ বাড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের হাজারো কারণ থাকা সত্ত্বেও আত্মহত্যা প্রবণতা হার কম থাকার প্রধান কারণ হচ্ছে ইসলামী অনুশাসন। হাজার অবসর ধরে ধর্মীয় অনুশাসন দেশবাসীকে পরিশিলিত সংস্কৃত করেছে। হাজারো দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা থাকা সত্ত্বেও ইসলামী অনুশাসন যারা তারা আত্মহত্যা করে না। ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা করা মহাপাপ। এজন্য ইসলামের অনুসারীরা কখনো আত্মহত্যা করে না।

মানুষ কেন আত্মহত্যা করে: আত্মহত্যা মূল কারণ হলো বিবাহ বিচ্ছেদ,পারিবারিক অশান্তি, প্রিয়জনের, প্রেমে বিচ্ছেদ,ইত্যাদি। বিজ্ঞানীরা এখন ধারণা করেছেন সবচেয়ে বেশি হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে তরুণ তরুণী। বয়স্ক ও মধ্য বয়সি মানুষেরও হতাশাগ্রস্ত হতে দেখা যায়। জাপানে বৃদ্ধদের মাঝে আত্মহত্যা প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। আবার ধনী দেশগুলো সবচেয়ে বেশি গরিব দেশের আত্মহত্যা করে।

একজন মানুষ নানা কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন এর মধ্যে ব্যক্তিত্ব্যে সমস্যা, গুরুতর মানসিক রোগ বা স্বল্পতার মানসিক, মাদকাসক্তি, এনজাইটি, ডিপ্রেশন অথবা প্ররোচনা ইত্যাদি। এক গবেষণা দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৩৯ দশমিক ৬ জন আত্মহত্যা করে। ছেলেদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি হলেও বাংলাদেশে এই হার নারীদের মধ্যে বেশি।

বাংলাদেশে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান: বাংলাদেশে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ৬৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুহার প্রতি লাখ মানুষে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৬ জন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে।

বাংলাদেশে আত্মহত্যা প্রতিরোধে করণীয় কী: বর্তমানে বাংলাদেশে আত্মহত্যার দিকে অনেক মানুষ ঝুঁকে পড়েছে।মানুষ যেন আত্মহত্যা না করে তাই আমাদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা জরুরী। আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা আমাদের কর্তব্য।এর জন্য যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে তা হলো-

পরিবার এবং সমাজের সবার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখা। যে কোন সমস্যা সমাধান এবং বিরোধ মোকাবেলা করার উপায়গুলোর সহজলভ্যতা।এমন বিশ্বাসের ভিত স্থাপন করা, যা আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করে এবং নিজেকে ভালবাসার প্রতি উৎসাহিত করে। আত্মসম্মানবোধ এবং জীবনের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নির্ধারণে সাহায্য করা। সমাজের অন্যান্যদের প্রতি যত্নশীল হতে শেখানো।

আরো পড়ুন: জীবনে খারাপ সময় আসবেই, ভেঙে না পড়ে এই ১০টি কথা মনে রাখুন

এতে সে অন্যান্যদের পক্ষ থেকেও যত্ন পাবে। তার চারপাশে এমন পরিবেশ গড়ে তোলা যেন ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে সে কোন রকম দ্বিধা বোধ না করে।মাদকাসক্তির ক্ষতিকর প্রভাবগুলো ব্যাপারে সচেতন করা।নিয়মিত ব্যায়াম করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি অনুপ্রাণিত করা। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমের জন্য উৎসাহিত করা।গান শোনা বা ভ্রমণের ব্যাপারে উৎসাহিত করা|

বাংলাদেশের এবং বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।