
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন কারখানায় তৈরি হচ্ছে ভেজাল সেমাই। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এসব কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের লাচ্ছা সেমাই তৈরি করছে। মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম রঙ। বিষাক্ত পোড়া তেলে ভাজা হচ্ছে এসব সেমাই। যা স্বাস্থ্যর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলেছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষ করে সেমাইগুলো শুকানোর পদ্ধতি অত্যন্ত নিম্নমানের। মূলত খোলা আকাশের নিচে রোদে শুকানোর ফলে এসব সেমাইয়ে মাছি বসে প্রচুর, ধুলাবালিও পড়ে। সেমাই রান্নার প্রক্রিয়ায় এগুলো থেকে আসা সব জীবাণু মরে যায় না। কিন্তু কাঁচা সেমাই কিনে ঘরে ভেজে নিলে আগুনের তাপে জীবাণুগুলো নিশ্চিতভাবে মারা যায়।
বাজারে পাওয়া ভাজা সেমাইয়ে সে সুবিধাটুকু নেই। মানুষের খাওয়ার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এসব লাচ্ছা সেমাই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলাতেও অবাধে পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে ভেজালবিরোধী অভিযান তৎপরতা না থাকায় যত্রতত্র লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম পড়েছে।
আরো পড়ুন: অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রির দায়ে রাবিতে ৫ দোকানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা!
আর অধিক মুনাফার আশায় এসব লাচ্ছা সেমাইতে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যবহারের অনুপযোগী নিম্ন মানের ময়দা, পামতেলসহ পোড়া তেল। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার দপ্তরে জানানো হয়েছে। অচিরেই অভিযান চালানো হবে।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।