আরব আমিরাতেও তুমুল জনপ্রিয় চট্টগ্রামের মেজবান!
চট্টগ্রামের মেজবানের কথা কে না জানে! স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় এই বিশেষ গরুর মাংস রান্নার পদ্ধতিটি। যিনি একবার মেজবানি মাংসের স্বাদ নিয়েছেন তিনি বারবার এই মাংস খেতে চাইবেন এতে নেই কোনো সন্দেহ।
আরব আমিরাতেও এই মেজবানি মাংস বাজিমাত করল দেশের সীমানা ছাপিয়ে। যেন একেই বলে বিশ্বজয়!
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ধীরে ধীরে মেজবানি মাংসের জনপ্রিয়তা বাড়ছে আরব আমিরাতে। হয়ে উঠছে সকলের প্রিয় খাবার।
আরব আমিরাতে বাংলাদেশি কোনো রেস্তোরাঁ চালু হলেই ভোজনরসিকদের কথা চিন্তা করে মেজবানি মাংস আগে পৌঁছে দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। আমিরাতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে ৮০ ভাগই হলো চট্টগ্রাম অঞ্চলের। তাই বিদেশ বিভূঁইয়ে খাবারের সংস্কৃতি প্রাধান্য পেয়েছে সবার আগে।
আরও পড়ুন# ৩০ বছর পর বিহারে ভেসে উঠল শতবর্ষী মসজিদ!
আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক হাজার বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ গড়ে উঠলেও ভোজন রসিকদের কাছে জনপ্রিয়তা বাড়াতে খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছে চট্টগ্রামের মেজবানি মাংস। গরুর মাংস, বুটের ডালের (স্থানীয় নাম চনার ডাল) সঙ্গে চর্বি ও নিহারি, এই তিনটি উপকরণ দিয়ে ভোজনবিলাসীদের কাছে সরবরাহ করা হয় মেজবানি।
দুবাইয়ের কিছু কিছু অঞ্চলে হোটেলের নামও রাখা হয়েছে মেজবান নাম দিয়ে। দেশটিতে মেজবানি এত বেশি জনপ্রিয় যে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে ক্রেতা ধরে রাখার জন্য খাবারের তালিকায় মেজবানিকে প্রাধান্য দিতে হয় সবচেয়ে বেশি। দেশি ক্রেতাদের পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতারাও মজেছেন মেজবানের অতুলনীয় স্বাদে। তাই নিত্যনতুন খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই খাবারটি!