
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ স্থগিত ঘোষণা করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। আজ ২ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে এই ঘোষণা দেন তারা। গত ৩১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ৩৭৫ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে স্থান না পেয়ে সেদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডেমিক ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে যায়। গতকাল (সোমবার) সকাল সাতটা ৪০ মিনিটে ঝাউতলা স্টেশনে শাটল ট্রেন আটকে দিয়ে ট্রেনের লোকোমাস্টারকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন অবরোধকারীরা। এর আগে কমিটি ঘোষণার পর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত কর্মীরা।
আরও পড়ুন# অবরোধ থামেনি চবিতে, পার হলো চব্বিশ ঘণ্টা!
পরে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাতিল হয় সব ধরণের ক্লাস পরীক্ষা। শাটল ট্রেন আটকে দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের কেউ ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি। শিক্ষকদের বাসও যেতে পারেনি ক্যাম্পাসের বাইরে। গত দু’দিন এই অবরোধ অব্যাহত ছিল। আজ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের আশ্বাস পেয়ে চলমান বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে অবরোধ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, চবিতে ছাত্রলীগ মোট দু’টি গ্রুপ ও ১১ টি উপগ্রুপে বিভক্ত। প্রধান দু’টি গ্রুপের মধ্যে দু’টি উপগ্রুপের অনুসারীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। বাকি ৯ টি গ্রুপ চট্টগ্রাম নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাসিরের অনুসারী।