
ফরিদপুরে কিশোরীকে গণধ’র্ষ’ণের পর আত্মহ’ত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী মো. রাব্বি ইসমামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে গ্রেফতার করে। বুধবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিআইডির এলআইসি বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। বৃহস্পতিবার তাকে ফরিদপুরের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের জন্যে আবেদন করা হবে।
গ্রেফতারকৃত রাব্বি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ছোট পাইককান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
ভুক্তভোগী মেয়েটি পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও তার মামাতো বোন। মাস ছয়েক আগে সে প্রথমে মেয়েটিকে প্রেমের ও পরে পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আত্মীয়ের সঙ্গে আত্মীয়তা করবেন না বলে এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় রাব্বির মামা ও তার পরিবার।
আরও পড়ুন# প্রিয়তমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, সুতরাং বেঁচে থেকে লাভ নেই – বলেই আত্মহ’ত্যা!
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে রাব্বি তার দুই সহযোগীকে নিয়ে জোর করে বাড়ির পাশে বাগানে তুলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধ’র্ষ’ণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। এরপর ওই রাতেই বিষপান করে মেয়েটি। তাকে হাসপাতালে ভর্তির পাঁচদিন পর ২৯ আগস্ট সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পৈশাচিক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেয় মেয়েটি।
ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে আসামি রাব্বি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধ’র্ষ’ণ ও আ’ত্ম’হ’ত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার নির্দেশে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, রাব্বি পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে তার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ওই স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধ’র্ষ’ণের কথা স্বীকার করেছেন। তার প্ররোচনায় বিষপানে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ধ’র্ষ’ণে জড়িত তার আরও দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।