সোনা বা রূপা নয়, বী’র্য এবং স্ত’ন্য দিয়ে তৈরি করেন গয়না!

সম্প্রতি কানাডার এক অলংকারশিল্পী দাবি করেছেন তিনি সোনা বা রূপা নয়, বরং পুরুষের বী’র্য ও নারীর স্ত’ন্য (দুধ) দিয়ে গয়না তৈরি করেন! এই ধরনের গয়নার কথা এই প্রথম শোনা যায়, যা নেট দুনিয়ায় সাড়া ফেলেছে।
সাজ পোশাকে মৌলিকত্ব পছন্দ করেন অনেকে, তৈরি করেন অনন্য সব ডিজাইন। বিশেষ করে গয়নার ক্ষেত্রে এর নান্দনিকতা এবং মৌলিকতার রয়েছে বিশেষ মূল্য। তাই সবার চেয়ে আলাদা ও মৌলিক ডিজাইনের গয়না বানাতে দিয়ে কানাডিয়ান এই শিল্পী ব্যবহার করেছেন অদ্ভুত কিছু উপাদান। সোনা, রূপা, হিরা, জহরতকে ঠেলে দিয়ে তিনি পুরুষের বীর্য দিয়ে তৈরি করছেন গয়না। এমন অদ্ভুত চিন্তা তার মাথায় এলো কীভাবে?
কানাডিয়ান সেই শিল্পীর নাম আমান্ডা বুথ। তিনি জানান এমন অদ্ভুত চিন্তা তার মাথায় না আসলেও পেয়েছিলেন অন্য একজনের কাছ থেকে। ২০২১ সালে টিকটকে এক নেটিজেন মন্তব্য করেন তিনি কি বীর্য দিয়েও গয়না তৈরি করতে পারবেন কিনা। সেই মন্তব্যের জের ধরেই নাকি তিনি প্রথম চেষ্টা করেন এ ধরনের গয়না বানানোর। শুরুতে মজার ছলে করলেও এখন নাকি এ বিষয়ে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই কাজ করছেন আমান্ডা।
আরও পড়ুন# এবার প্রকাশিত হলো ট্রাম্পের বাড়ি থেকে জব্দ করা জিনিসপত্রের তালিকা!
তিনি একাই নন, এই কাজে তাকে তার স্বামীও সাহায্য করে বলে জানান। তাদের গয়না বানানোর সংস্থার নাম ‘জে-জাই জুয়েলারি’ রেখেছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান শুরুতে বিষয়টি মজার ছলে হলেও, এমন গয়নার খবর জেনে শয়ে শয়ে অর্ডার আসতে থাকে তাদের কাছে। তাই তারা পেশাগতভাবেই কাজ শুরু করেছেন এখন। শুরুতে শুধু বীর্য ব্যবহার করলেও এখন নারীদুগ্ধ নিয়েও কাজ করছেন তারা।
তবে নিজের টিকটক অ্যাকাউন্টে আমান্ডা জানান, দেখতে যতই ভালো লাগুক বীর্য থেকে প্রক্রিয়াকরণ করে বিশেষ এই গয়না বানানো নাকি বেশ ঝামেলার কাজ। বিশেষ করে গয়নার জন্য যখন কেউ নমুনা হিসেবে বীর্য পাঠান তা থেকে নাকি প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বের হয়। সেটাকে প্রক্রিয়াজাত করে শুকিয়ে গুঁড়ো করা হয়। তারপর সেই গুড়ো দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন গয়না যেমন হাতের বালা, কানের দুল, গলার হার ইত্যাদি। তাদের এ কাজে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা