
রাজধানীসহ সারা দেশে ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর, কাশি দেখা দিয়েছে। মৌসুমি জ্বরের পাশাপাশি বাড়ছে ডেঙ্গু ও করোনা জ্বর। এছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশনের জ্বরেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। সব বয়সী মানুষই আক্রান্ত হচ্ছে এসব রোগে। ফলে বাড়ছে আতঙ্ক। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন বর্তমানে চার ধরনের জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এসব জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, সর্দি-জ্বর অথবা কাশি হলে প্রথমে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খেতে হবে। পাশাপাশি হালকা গরম পানির মধ্যে লেবুর রস দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। বেশি বেশি রং চা, আদা, এলাচ, জিংক খেতে হবে। তবে জ্বরের সময়কাল চার-পাঁচ দিনের বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় গরম বেশি বেড়ছে। আবার রোদ-বৃষ্টিও হচ্ছে। ফলে এই খেয়ালি আবহাওয়ায় সিজন্যাল জ্বর খুব বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। আর ডেঙ্গু ও করোনার প্রকাপ তো আছেই। তাই আপাতত সচেতনতার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি খুব কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে।
বেশিরভাগ বাড়িতে একাধিক ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে হসপিটালে না গিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে হসপিটালে খুব একটা চাপ দেখা দেখা না দিলেও ঔষুধের চাহিদা বাড়ছে। তবে বাজারে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধের মজুদ আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন# ফের বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ