
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বাংলাদেশে জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিং আরও বাড়ানো হবে। তারা বলেছেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয় বা কম ব্যবহারের কর্মসূচি ব্যর্থ হওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক দিনে এক ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কর্মসূচিতে বিপর্যস্ত দেশবাসী। বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ আসছে। শহরাঞ্চলে দুই তিন ঘণ্টা বা তারও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ থাকছে না।
দেশের প্রায় সব জেলায় একই চিত্র দেখা গেছে। রাজধানী ঢাকাতেও এক ঘণ্টার বেশি লোডশেডিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ এবং শহরাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলোও বলছে, তারা অনেক কম সরবরাহ পাচ্ছেন এবং সেজন্য লোডশেডিং ব্যবস্থাপনা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট অঞ্চলের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির জানিয়েছেন, সিলেটে চাহিদার ৫০ শতাংশ সরবরাহ হচ্ছে। কোন কোন সময় ৬০ বা ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত। এত সীমিত সরবরাহ দিয়ে শহরাঞ্চলে কিছুটা সহনীয় থাকছে কিন্তু শহরের বাইরে পাঁচ ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য এসব বিপর্যয়ের কথা অস্বীকার করছে না।
সরকারের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেছেন, “জ্বালানি সঙ্কটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে ১০০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। আরও ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম ব্যবহার করার বা সাশ্রয়ের কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য দোকানপাট সন্ধ্যার পর বন্ধ রাখা এবং অফিস-বাড়িতে এসির ব্যবহার কমানোসহ মানুষের সহযোগিতা কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল। কিন্তু এই কর্মসূচি শুরুর পর থেকে সাতদিনের পরিস্থিতি পর্যলোচনা করে তারা দেখেছেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কর্মসূচি ব্যর্থতার দিকেই আগাচ্ছে।
লোডশেডিংয়ে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোহাম্মদ হোসাইন জানিয়েছেন, লোডশেডিংয়ের পরিমাণ এখন ১০০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে দেড় হাজার মেগাওয়াট করা হবে। এতে করে সারাদেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ এবং সময় বাড়বে। এই পরিমাণটা বিদ্যুতের মোট চাহিদার দশ শতাংশের মত। এভাবে লোডশেডিং ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে যে দুই কারণে!