শিল্প ও সাহিত্য

প্রোডাক্টিভ মুসলিম বই রিভিউ!

বই: প্রোডাক্টিভ মুসলিম
লেখক: মোহাম্মাদ ফারিস
অনুবাদক: মিরাজ রহমান ও হামিদ সিরাজী
পৃষ্ঠা: ২৫৬
প্রকাশকাল: ২০২০
সংস্করণ: ৩য়
মূল্য: ২৫০ টাকা (ফিক্সড)
আইএসবিএন: 978984825454
বিক্রিত সংখ্যা: আনুমানিক ৫০ হাজার কপি।

প্রোডাক্টিভ মুসলিম

আমাদের মুরুব্বিগণ প্রায়ই বলে আজকালের ছেলেমেয়ে দ্বারা কিচ্ছু হবে না। জনৈক আলেম ভাই বলেছিলেন এখনকার নবীনদের মধ্যে ভিশন থাকলেও মিশন নাই, স্বপ্ন নেই, উদ্যম নেই, নেই আরও অনেক কিছু।

তবে আমি প্রথমেই সবিনয়ে বলব “এই প্রজন্মকে তারা কতদিন সেলফ বিল্ড-আপের ব্যাপারে বলেছে? কয়টা সেমিনারে উদ্যমতা, সময়ের সাথে জ্ঞানের সমন্বয়, স্বপ্ন দেখা এবং কিভাবে ইউনিক স্বপ্ন দেখা যায় তা শিখিয়েছে?

কীভাবে সব সময় অনুপ্রাণিত থাকা যায়? কীভাবে ব্যর্থতাকে ম্যানেজ করতে হয়? কীভাবে জ্ঞানকে প্রয়োগ করতে হয়? কী কী কাজ আসলেই করতে হবে? এগুলো কয়দিন শিখিয়েছেন?

আরও পড়ুন:  সৌদামিনী মালো ও আত্মচরিত বই রিভিউ

মূলত আজকের জেনারেশন যেমনই হোক! তার বেশিরভাগ দোষ যাবে পূর্ববর্তী প্রজন্মের উপরেই। কারণ তারা যেমন পরিবেশ দিয়েছে আজকের প্রজন্ম তাই হয়েছে। ব্যতিক্রম দুই এক ক্ষেত্রে হবেই। তাই এই তরুন প্রজন্মের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার আগে নিজেদেরকেও প্রশ্ন করা উচিৎ! কিন্তু এই প্রজন্ম তো আর বসে থাকার না, তারা চাইলেই তাদের জীবনকে চির সবুজ, সাহসী, উদ্যমী, বিনয়ী করতে পারে!

কিন্তু কীভাবে? এই কীভাবের উত্তর আছে প্রোডাক্টিভ মুসলিম বইতে। আমি কিছু অধ্যায়ভিত্তিক আলোচনায় জাস্ট উপকারি কিছু কথা শেয়ার করব।

১ম অধ্যায়:

প্রোডাক্টিভ মুসলিম : প্রোডাক্টিভিটি কী?

প্রোডাক্ট বলতে তো অতি পরিচিত অর্থ হলো পণ্য। তাই বলে কী প্রোডাক্টিভিটির অর্থ পণ্য বিপনন? না!

বরং প্রোডাক্টিভিটি হচ্ছে সময়ের সাথে উপকারি কোনো উদ্দেশ্যে শারীরিক কর্মশক্তির সর্বোচ্চ সমন্বয়!

কি বুঝতে সমস্যা হচ্ছে?

দেখুন আপনার কোনো এক বন্ধু বিশেষ কোনো কাজ করছে, সে দুইদিনে যে কাজ করে সেটা আপনি একদিনে করলেন! কিন্তু আপনি কাজ শেষ করার পরও ক্লান্ত ফিল করছেন না,বরং আপনার বেশ আনন্দ লাগছে, যেমন আনন্দ ফিল করেন কোনো ক্রিকেট খেলায় দলের হয়ে আপনি একাই সেঞ্চুরী করার পর!

খেয়াল করুন, এখানে আপনার কয়েকটা উপাদান থাকছে। সময়, মনোযোগ,শারীরিক কর্মক্ষমতা,মনোযোগ! এগুলোর সাথে তো আমরা সবাই পরিচিত তাই না? ঠিক এগুলোর একটি সমন্বিত রূপই হলো প্রোডাক্টিভিটি। কিন্তু সমন্বয় কিভাবে করব? যদি এক কথায় জানতে চান তবে বলব “সেলফ বিল্ড রুটিন”

আমার কথা শুনেই হয়তো আপনার কল্পনায় কিছু দৃশ্য জেগে উঠছে। যেমন:

১) প্রোডাক্টিভ মানেই ব্যাস্ত থাকতে হবে। (কিন্তু মুল উত্তর হচ্ছে প্রোডাক্টিভিটি মানেই কম ব্যস্ত থাকা।খুব সহজে আনন্দের সাথে চিন্তা মুক্ত ভাবে নিজের কাজ সম্পন্ন করা)

২) এটা হয়তো কোনো ইভেন্ট, যেমনটা কোনো অনুপ্রেরণামূলক বই বা ভিডিও বা স্পিচ দেখার পর উদ্দাম থাকে কিন্তু পরে আর থাকে না। (এটাও ভুল হবে, প্রোডাক্টিভিটি একদিনের কোনো আয়োজন নয়, এটা রেগুলার চর্চার বিষয়, অভ্যাসে পরিনত করার বিষয়)

৩) বিনোদনহীনতায় থাকতে হবে। (এটাও চরম ভুল,কারন প্রোডাক্টিভিটি মানেই এই নয় ফেজবুক বাদ দিবেন, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবেন না,খবরের কাগজ পড়বেন না। বরং প্রোডাক্টিভিটি আপনাকে সময়ের সাথে সঠিক স্বীদ্ধান্ত নিতে ও চিন্তামুক্ত ভাবে সঠিকভাবে কাজ সম্পাদন করতে সাহায্য ককরবে।)

প্রোডাক্টিভিটির ইতিহাস, ইসলাম ও প্রোডাক্টিভিটির মিলবন্ধন গোপন করা হয়েছে

প্রোডাক্টিভ মুসলিম : ইসলাম বনাম মুসলিম

দ্বিতীয় অধ্যায়ের একটা পাঠ আমার দারুণ ভাল লাগে সেটা হচ্ছে ইসলাম বনাম মুসলিম। সেটা হচ্ছে যে ইসলামের প্রোডাক্টিভিটি গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেটা থেকে একটা প্রশ্ন থাকেই যে, ইসলাম যদি এতটাই প্রডাক্টিভিটির কথা বলে তাহলে কেন দুনিয়াব্যাপী মুসলিম উম্মাহ সবচেয়ে আনপ্রোডাক্টিভ জাতি?

আসলেই জটিল! এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিব্রত হতে হবেই। তবে চলুন আমরা উত্তর খুঁজি!

আমরা একটা ব্লেম গেম খেলতে ওস্তাদ। মুসলিম উম্মাহর কোনো সংকট নিয়ে আলোচনা উঠলেই আমরা একটা নোক্তা দিয়ে বলি “ইহুদী-নাসারার ষড়যন্ত্র”।

কোনো সন্দেহ নেই, মুসলমানদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। তবে ষড়যন্ত্রকে সামনে রেখে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করে একটা সুখ সুখ ব্যাখ্যা হাজির করা খুবই ভয়ঙ্কর! তাতে না ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়, না নিজেদের ভুল সংশোধন হয়! আমাদের অবশ্যই আয়নার সামনে দাঁড়াতে হবে এবং প্রশ্ন করতে হবে!

কেন মুসলমানদের শিক্ষার হার অন্যদের চেয়ে কম? অথচ আমরা পড়ুয়া জাতি।

কেন মুসলমানদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি? অথচ মুসলমানরা পরিশ্রমী জাতি।

কেন নোবেল পুরষ্কার পাওয়া ব্যক্তিত্বের সংখ্যা কম? অথচ মুসলমানরা চিন্তাশীল জাতি।

এর উত্তর দেওয়ার আগে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এসব প্যারামিটারে আদতেই মুসলমানদের অবস্থা শোচনীয়।

বাস্তবতায় প্রোডাক্টিভ মুসলিম

বাস্তবতা হলো দীর্ঘ নয় শত বছর ধরে পৃথিবীর অধিকাংশ অঞ্চল মুসলমান শাসন করেছে। এই সময়কাল ছিল কঠোর পরিশ্রমের এবং খুবই প্রোডাক্টিভ। পুরো দুনিয়ায় তখন নতুন নতুন আবিষ্কারের উৎসব চলছিল। পৃথিবী তখন মুসলমানদের নিকট থেকে দুহাত ভরে নিয়েছে,আর মুসলমানরাও উদার বুকে দিয়ে গেছে।

দীর্ঘ পথচলার পর এক পর্যায়ে এসে মুসলমানরা থমকে দাড়াল।রাজা হয়ে যায় প্রজা, প্রোডাক্টিভ জাতি হয়ে যায় আনপ্রোডাক্টিভ।

দাতার বদলে হাত পাততে শুরু করল। মুসলিম উম্মাহর সামগ্রিক পতনে কলোনাইজেসন কিংবা ইহুদি-নাসারা ষড়যন্ত্রই কেবল দায়ী এমনটা ভাবা শুরু হলো।

অন্ধ দোষারোপ করে লাভ কি? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে পরখ করে নেই। কি দেখা যাবে প্রতিচ্ছবিতে?
দেখা যাবে মুসলিম উম্মাহর অবচেতন মনে ভ্রান্তি ও বিচ্যুতি এসে বাসা বেঁধেছে এবং এজন্যই আমরা পরাজিত উম্মাহর দায় নিয়ে বেড়াচ্ছি।

এবং এর ভেতরের মুল কারণ জেনে আমি নিজেও চিন্তায় পরে যাই। খুঁটিয়ে দেখিয়ে আমার মধ্যেও এমন চিন্তা আছে নাকি। এটা সিক্রেট থাকলো, নিশ্চয়ই বইতে পাওয়া যাবে।

তৃতীয় অধ্যায়:

প্রোডাক্টিভ মুসলিম : স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি

এই পাঠে আমরা প্রোডাক্টিভ কিছু চর্চা দেখব।এই পাঠটা একক সময়েই পড়ে শেষ করা যাবে।তবে আমি এখানে প্র‍্যাক্টিসের মতো সময় নিয়েছি এবং ভালোভাবে নিজের বাস্তব জীবনে এপ্লাই করেছি। মোটামুটি আগের তুলনায় ৮০% বেশি উপকৃত হয়েছি।

চমৎকার একটি কথা পেয়েছিলাম যা পাঠক হিসেবে আমার দৃষ্টিভঙ্গি চেঞ্জ করে দেয়।

“তুমি যদি আল্লাহকে না মানো তবে তুমি অন্য কাউকে নিশ্চয়ই মানছো”

এই অধ্যায়টাতে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ইবাদতের মধ্যে যা সত্যিই সাধারণ ব্যক্তিগন জানেন না।

আমাদের মধ্যে এমন হয় যে “দীর্ঘদিন পাপাচারে থেকে হেদায়েতের ছোঁয়া পাওয়ার সাথে সাথে তাওবা করে আমরা নামাজ সহ ইসলামের নিয়ম কানুন মানি, কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর আবার আমাদের আগের কাজেই ফিরে যাই!

এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?

জাস্ট এই চ্যাপ্টারটা প্র‍্যাক্টিস করার পর আমি মুক্তি পেয়েছি।

আমি আগেই বলছি জাস্ট পড়লে হবে না, এটা নিজ জীবনে এপ্লাই করতে হবে। আমি একটি আপনাদের সামনে উপস্থাপণ করছি। একটু মিলিয়ে দেখবেন।

তাকওয়া

তাকওয়ার সাথে আমরা সবাই পরিচিত।কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আমরা প্রায়ই তাকওয়ার উপর থেকে সামান্যতম হলেও দূরে চলে যাই,এবং শয়তান আমাদেরকে এর জন্য বল প্রয়োগ করে আর আমরা ধীরে ধীরে বেশিই দূরে চলে যাই,কিন্তু সেটা উপলব্ধি করতে পারি না।
চলুন তাহলে আমরা একটু দেখে নেই কিভাবে তাকওয়ার দিকে দিনে দিনে বেশি অগ্রসর হতে পারি।

একটি ঘটনা মনে করিয়ে দেই ” এক মেয়ে বাজারে দুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে তার মায়ের কথামতো দুধে পানি মেশাতে অস্বীকার করেছিলো। মেয়েটি তার মাকে সতর্ক করেছিলো। কারন খলিফা উমর দুধে কিছু মেশাতে মানা করেছেন।

তার মা উত্তর দিয়েছিল, উমর আশে পাশে নেই এবং কেউ টেরও পাবে না।মেয়েটি বলেছিলো কিন্তু আল্লাহ তো আমাদের দেখছেন!”

এই যে দেখুন এই আল্লাহ আমাদের দেখছেন, এই ছোট্ট কথা শুধু বিশ্বাস নয়, নিজের জীবনে এপ্লাই করার জন্য কিন্তু উমর রাঃ এর মাধ্যমে মহান রব তাকে অনেক বড় নিয়ামত (পুরস্কার) দুনিয়াতেও দান করেছিলেন।

এইভাবে তাকওয়া বারাকাহ বাড়ায়!

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কীভাবে সব সময় প্রোডাক্টিভ থাকবেন? মানে এমন তাকওয়াবান থাকবেন?

১) সর্বদা আল্লাহর প্রতি সচেতন থাকুন:

প্রতিটি কাজে প্রতিটি স্বীদ্ধান্তে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করুন”আল্লাহ যদি আমাকে এই স্বীদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করেন,আমি কি বলব? কিভাবে আমি এটাকে আল্লাহর দৃষ্টিতে ন্যায়সংগত করতে পারি?

২) আল্লাহ সম্পর্কে বেশি বেশি জানুন:

তার নাম ও গুণাবলি এবং সেগুলো কিভাবে আপনার জীবনে প্রভাব ফেলে,তা জানুন।

৩) আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন:

গুনাহ করে থাকলে অবিলম্বে তাওবাহ করে নিন। চতুর শয়তানের এমন প্রতারণাপূর্ণ কথায় কান দেবেন না- “তুমি এত খারাপ যে, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন না”।

কারণ মহান আল্লাহ বলেছেন- “বলো,হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা জুমার: ৫৩)

এই অধ্যায়ে স্পিরিচুয়ালিটির উপর মোটামুটি অনেক গুলো পরামর্শ আছে। যেগুলো বাস্তবায়ন করলে আর কখনই ছেড়ে যাওয়া রোগ হবে না।

এরপর আছে ফিজিক্যাল লাইফের প্রোডাক্টিভি! এই বিষয়টাতে ঘুম সম্পর্কে প্রথমেই ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে।

আমরা অনেকেই ঘুম থেকে ঠিকমতো উঠতে পারি না।

এই ব্যাপারটার জন্য আমরা আমাদের সারাদিনের কাজ ঠিক মতো করতে পারি না।
আমি নিজে হাল এলরডের মিরাকল মর্নিং বই পড়ে সকালে উঠার ব্যাপারে দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত এবং প্রোডাক্টিভ হয়েছি।

এই বইতে দেওয়া প্র‍্যাক্টিস থেকে হাল এলরডের দেওয়া প্র‍্যাক্টিস আমার কাছে সহজ লেগেছে।
তবুও পাঠক এখানে নতুন অনেক কিছুই পাবেন।

যেমনঃ ঘুমের আধ্যাত্মিক সমাধান, শারীরিক সমাধান, প্রাচুর্যের যুগে এর প্রভাব সহ নিউট্রিশনের মধ্যে প্রোডাক্টিভিটির দারুন মিলবন্ধণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আমাদের সবারই সময় থাকে, সবারই কাজ থাকে! তবে আমরা সেই সময়টাকে ঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারি না। ঠিক মতো ফোকাস দিতে পারি না! এটার দারুন সমাধান দেওয়া হয়েছে।

আমাদের অন্যতম সমস্যা আমরা কিভাবে অন্যের সাথে মিশতে হয়, কিভাবে আত্মীয়ের আপ্যায়ন করতে হয়, কিভাবে অপরের সাথে জটিল বিষয়ে উগ্র না হয়ে কথা বলতে হয়! এই বিষয়ে ঠিক অভিজ্ঞ নই।

কিন্তু কনফিডেন্সের সাথে দারুন সব সমাধান দেওয়া হয়ে একক একটি অধ্যায় জুড়েই।
বইয়ের অন্যতম একটি আকর্ষণ আছে অভ্যাস নিয়ে।

আমি অভ্যাস সম্পর্কে যে বইগুলো থেকে নিয়মিত প্র‍্যাক্টিস করছি, বইটাতে সেই বই থেকেই আইডিয়া নিয়ে এপ্লাইয়ের উপযুক্ত করেছে।

তাই এই অধ্যায়টা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।

বইয়ের অন্যতম টুইস্ট দেখা যায় রমজান বিষয়ক সেমিনারের মতো আলোচনায়।

রোজার কত আলোচনা আমরা শুনি, রোজার মাসে ভালো হই! কিন্তু পরের এগারো মাস আর তা থাকে না।ইভেন অনেকে তো পাচটা রোজা যাওয়ার পরই শৃঙ্খলায় থাকে না।

কিন্তু এক্সাক্টলি কিভাবে এই ত্রিশটা দিন আমরা আনন্দের সাথে ইবাদত করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাব?

সেটার এক দীর্ঘ আলোচনায় দারুন ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

সমালোচনা

বইটি আমার কাছে দারুন লেগেছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য কমিউনিকেশন স্কিল সম্পর্কে আলোচনাই তেমন পাইনি। এটা জরুরি ছিল!

সব সময় মোটিভেটেড থাকা সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়নি বলে পাঠকের এখানে সমস্যা হবে। বইটি সেল্ফ রুটিনের দিকে বেশি ফোকাস দিলেও ঠিকভাবে তার চিত্র বর্ণনা করেনি।

কারা বইটি পড়বেন?

বইটি সবার জন্য। এক কথায় সবার জন্য। বিশেষ করে আমি কিছু বলব না। কারণ এটা আসলেই খুব দরকার।

আরও পড়ুন: বোবাকাহিনী বই রিভিউ

যদিও বইটা প্রোডাক্টিভিটির ওপরে লেখা। তবে এখানে মিশ্রভাবে কয়েকটা ভাগ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট একক আলোচনা করা হয়নি, তাই প্রোডাক্টিভিটির আলোচনা সীমিত থাকবেই। তবে পাঠকের উচিত এই আলোচনার পরেও কিছু বই সংগ্রহ করে পড়া।

আমি কিছু নাম দিচ্ছি:

১) How to Talk to Anyone: 92 Little Tricks for Big Success in Relationships by Leil Lowndes
2) Think and grow rich by Napoleon Hill
3) Atomic Habits by James Clear
4) Power of Habit
5) The Power of Your Subconscious Mind by Joseph Murphy
6) Exactly What to Say : The Magic Words for Influence and Impact by Phil M. Jones
7) The Art of War by Sun Tzu
8) The Art of Thinking Clearly by Rolf Dobelli
9) Attitude of everything

রিভিউ লেখক:

হাবিবুর রহমান উজ্জ্বল (সার্কিট)
শিক্ষার্থী, টাংগাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।