মারাত্মক অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিক সংকটে দেশ। সাধারণ জনগণের মুখে হাসি নেই আজ কয়েক মাস। কোনো কিছুই ঠিকটাক যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার। যে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল নিজেদের মাটিতে, সেটা চলে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এত সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েও কীভাবে মাথা উঁচু রাখতে হয় সে দৃষ্টান্তই তৈরি করল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।
দেশের মানুষ যখন খাবার পাচ্ছে না, তেলের অভাবে গাড়িত চাকা ঘুরছে না, ওষুধের অভাবে কাতরে প্রাণ যাচ্ছে কত মানুষের। তখনই নতুন করে স্বপ্ন দেখাল লঙ্কান ক্রিকেটাররা। ওরা যা চেয়েছিল, তাই করল। খানিক সময়ের জন্য হলেও হাসি ফোটাতে পারল অসহায় মানুষগুলোর মুখে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা!
অথচ এবারের আসরের শুরুতে ওদের পক্ষে বাজি ধরার মতো ছিল না কেউই। প্রথম ম্যাচে আফগানদের কাছে লজ্জাজনক হারের পর তো অনেকে ধরেই নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব হয়তো পেরুতে পারবে না লঙ্কানরা। টুর্নামেন্টে ওদের খেলাও হয়তো দেশের পরিস্থিতির মতোই নাজুক হবে। তবে পরিস্থিতি বদলাতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
এরপর একে একে বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান সবাইকেই হারিয়েছে লঙ্কানরা। শেষবার গতকাল রাতে পাকিস্তানকেও সহজেই হারিয়ে দিলো। ফলাফল, ষষ্ঠ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন চরম দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই দেশটি।
বলা হয়ে থাকে, ইতিহাসের মূল অংশে থাকে কেবলই বিজয়ের স্তুতিগাথা। ২০২২ এশিয়া কাপের ইতিহাসেও লেখা থাকবে শ্রীলঙ্কার বীরত্বগাথা।
তবে কী পরিস্থিতির মোকাবিলা করে ওরা জিতেছিল নিজেদের এশিয়া কাপের ষষ্ঠ শিরোপা, সেটা হয়তো লেখা থাকবে না। ক্রিকেটকে পাথেয় করে আবারও স্বাভাবিক ভাবে ফিরে আসুক শ্রীলঙ্কা, সেই প্রার্থনা করি আমরা।