ধর্ম

কেয়ামতের যেসব আলামত সৌদি আরবে ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে এবং পাবে

কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না যে পর্যন্ত সম্পদের প্রাচুর্য না আসবে। এমনকি কোনো ব্যক্তি সম্পদের জাকাত নিয়ে ঘুরবে কিন্তু নেওয়ার মতো লোক পাবে না

কেয়ামতের জ্ঞান একমাত্র তাঁরই জানা। তাঁর জ্ঞানের বাইরে কোন ফল আবরণমুক্ত হয় না। এবং কোন নারী গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব করে না। যেদিন আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বলবেন, আমার শরীকরা কোথায়? সেদিন তারা বলবে, আমরা আপনাকে বলে দিয়েছি যে, আমাদের কেউ এটা স্বীকার করে না। (সুরা হা-মিম-সাজদা: ৪৭)

ছোট আলামতের মধ্যে কিছু পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি বা প্রকাশ পেতে শুরু করেছে- এর মধ্যে রয়েছে আরবের মরুভূমি সম্পর্কে কিছু বর্ণনা। এমন একটি বর্ণনা হলো আরব ভূখণ্ডে তৃণলতা ও নদী-নালা ফিরে আসা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না যে পর্যন্ত সম্পদের প্রাচুর্য না আসবে। এমনকি কোনো ব্যক্তি সম্পদের জাকাত নিয়ে ঘুরবে কিন্তু নেওয়ার মতো লোক পাবে না। আরবের মাঠ-ঘাট তখন চারণভূমি ও নদী-নালায় পরিণত হবে।’ (সহিহ মুসলিম: ২২২৯) হাদিস বিশারদদের মতে, এই হাদিস দ্বারা শুধু বর্তমান সৌদি রাষ্ট্র উদ্দেশ্য নয়।

কোরআন-হাদিসের ভাষায় আরব বলতে গোটা আরব উপদ্বীপকে বোঝায়। এই উপদ্বীপে রয়েছে বর্তমান সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন ও ওমান। কেয়ামতের উল্লেখযোগ্য ছোট আলামত হলো- একদিকে বিশ্বজুড়ে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র ঠাণ্ডা ও দাবদাহসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। এতে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অপরদিকে মরু অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির কারণে ঘটবে এর উল্টোটা।

বন্যার কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হবে আরব অঞ্চল। পানির ছোঁয়ায় শুষ্ক মরুভূমি পরিণত হবে সবুজ অরণ্যে। ইতোমধ্যে এরকম ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সৌদি আরব। সম্প্রতি আরবে আকস্মিক বন্যায় আল উতাইবির অধিকাংশ রাস্তা পানির নিচে ডুবে গেছে, পানি দেখা গেছে মদিনার দক্ষিণ অঞ্চলগুলোতেও, রাজধানী রিয়াদের বিভিন্ন রাস্তাও বন্যায় কবলিত হয়েছে। একইভাবে আরবের বুকে দেখা যাচ্ছে সবুজ তৃণলতার দৃশ্য। সাম্প্রতিক সময়ে আরবের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা করে অনেক ভূতাত্ত্বিকই এটি নিশ্চিত হয়েছেন।

বৃষ্টির পর সবুজে ছেয়ে গেছে মক্কার পাহাড়! ছবি: ইন্টারনেট

(ইসলামওয়েব ডটকম) যাকে নবীজির ভবিষ্যদ্বাণীরই প্রতিফলন বলছেন অনেকে। সে সময়ে তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে, যার ফলশ্রুতিতে একটি ভূমিকম্প ভূমিকে তলিয়ে দেবে। (তিরমিজি) যখনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। সে সময় কী ঘটবে? কুরআনের কারিমে তাও বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের আগে ভূমিকে এমনভাবে প্রকম্পিত করবেন যে, জমিন তার গর্ভে ধারণ করা সব বস্তুকে বের করে দেবেন।

আর পড়ুনঃ মাত্র দু-মিনিট সময় লাগবে গল্পটি পড়তে, মিস করলে জীবনের অনেক কিছু অজানা থাকবে

কুরআনুল কারিমে এ কথা এভাবে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন-‌ ‘যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে। যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।’ (সুরা যিলযাল: আয়াত ১-২) সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগে নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে জীবনের শেষ মুহূর্তভেবে উল্লেখিত কাজগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কেয়ামতের সব আলামত ও তার ভয়াবহতা থেকে হেফাজত করুন। ঈমান ও নেক আমলের ওপর জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। (আমিন)

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।